জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ

জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ

Friday, August 12, 2016

বিচার চাই এই জমি মাফিয়ার







জন্ম ভিটে কেড়ে নেবার কাহিনী



মালদহ জেলার রতুয়া থানার জাননগরে আমার জন্ম । সমপ্ন পরিবারে আমার জন্ম । আমার বাবা নুরপুরের পাঠান জমিদার দের জমি ও জমিদারী দেখা শুনার প্রয়োজনে জাননগর গ্রামে বসবাস শুরু করেন । খাঁ সাহেব তাকে এক একর সাতাশ শতক জমি দেন । পরবর্তী সময়ে সুরেন্দ্রনাথ ও দয়ানাথ এর মধ্যে দুই ভাগ হয় ।

 দাগ নাম্বার ৭০৫ 
মৌজা ঃ জাননগর ব্লক রতুয়া জেলা মালদহ 
জমির পরিমাণ এক একর সাতাশ শতক 
আর এই জমির মালিক 
সুরেন্দ্রনাথ ঝা 
জাননগর রতুয়া মালদহ 
১৯৭৩ আমার বাবা সুরেন্দ্রনাথ ঝা মারা যাবার পর আমাকে বাইরে চলে যাবার পর আমার মা একা ছিলেন তার স্বামী ভিটে তে । আমি তাকে আমার কাছে নিয়ে এলেও থাকতে চাইতো না । তবে ঐ গ্রামের কয়েক ব্যক্তির মদত ছিল তাকে আমার কাছে না থাকে যাতে তার সম্পত্তি লুটে পুঁটে খেতে পারে তাই তাকে কু মন্ত্রণা দিত তার ফলে আমার সাথে মা যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দিলেন । ১৯৮০ সালে একবার ছোট্ট ছেলে কে নিয়ে গিয়েছিলাম তখন মায়ের নির্দেশে কিছু লোক হামলা করেছিল এই অনিল ঘোষের   নেতৃত্বে । সেই থেকে আমার জাননগর গ্রামের সাথে আমার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় ।অথচ এই ভুমি আমার স্বপ্নের ভুমি জন্ম ভুমি । আর স্বপ্নের ভুমিতে সেই সুযোগে থাবা বসিয়েছে এক জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ । আর এই ভুমি সুরেন্দ্রনাথের সাধনার  ভুমি । যেখানে নিত্য চণ্ডী ও গীতা পাঠ করতেন ।


এই পরিবার কে তছনছ করে সর্বস্ব লুঠ করেছে । জাল দলিল তৈরি করে জমি গুলি দখল করেছে । এই জমি মাফিয়া 







Thursday, August 11, 2016

দুর্গাপুরের আকর্ষণে এসেছিলাম ১৯৭৩ সালে



১৯৭৩ সাল রাজ্যে তখন সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়ের আধা ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের রাজত্ব । শীতের এক দিন সন্ধ্যা বেলা উত্তর বঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার বাসে চেপে মালদা শহর থেকে দুর্গাপুরে এলাম । সেই সন্ত্রাস এর মাঝে এক কমিউনিস্ট কর্মী হিসাবে প্রায় আত্ম গোপন করে দুর্গাপুরে বসবাস শুরু করলাম । স্থানীয় সি পি আই এম নেতা সুখেন সরকারের পরামর্শে যুব ও ঠিকাদার শ্রমিক দের নিয়ে তৎকালীন সরকারের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করলাম । দীর্ঘ লড়াই করে ৫০০ ঠিকাদার শ্রমিক কে দুর্গাপুর প্রকল্পে স্থায়ী ভাবে নিয়োগ হল । যার মধ্যে আমিও ছিলাম । আর এই লড়াই নেতৃত্বে আমি ছিলাম ।
দুর্গাপুর প্রকল্পে স্থায়ী কর্মী হিসাবে যোগ দান করলাম ।
এই কোক ওভেন প্লান্টে প্রথম কর্ম জীবন শুরু করি  তার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন সংস্থা বদলি হয়ে যায় ।
দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে দীর্ঘ কর্ম জীবন কেটেছ  আমার । যন্ত্রের সাথে একাকার হয়ে  নিজেকে তৈরি করেছিলাম । আর এই যন্ত্রের সঙ্গী ।

শিল্পের জন্য শিল্প , বিধান রায়ের স্বপ্ন দুর্গাপুর প্রকল্পে কর্মী হিসাবে নিজে গর্ব করতাম । এখানে ঘটে গেল এক বিরাট ভুল যে ভুলের কথা পরে লিখব । তবে দুর্গাপুর আমাকে অনেক দিয়েছে আবার কেড়ে নিয়েছে অনেক ।

রাজনীতি আমাকে দিয়েছে সন্মান ।
হারিয়েছি আমার পৈতৃক বাসভুমি 





ভৈঁরো বাবা কি দরবার










ভৈরবনাথ তোমার কাছে বিচার প্রাথনা রইল । ৩৫ বছর যে স্বপ্ন দেখছিলাম । আমি কর্ম জীবনের প্রয়োজনে জাননগর গ্রাম থেকে দুর্গাপুরে চলে আসি । এক ১৯৭৩ সাল থেকে আমি স্থায়ী ভাবে দুর্গাপুরে বসবাস করছি । আর গ্রামের বাড়ি তে বসবাস করত আমার মা ।
তারা দেবী 
আমার মায়ের সাথে জমি জায়গা নিয়ে মত পার্থক্য কারনে আমার গ্রামে যাওয়া আসা কমে যায় , কারন আমি আমার মায়ের কিছু কথা মেনে নিতে পারি নি । যাকে ভরসা করে তাকে রেখে এসে ছিলাম সেই মানুষ টি বিশ্বাস ঘাতকটা করে জোর করে দখল করে বসে আছে । তার মধ্যে ফাগু আর অনিল ঘোষ এরা সুকৌশলে জায়গাটার দখল নিয়েছে । 
অনিল ঘোষ নামক এক জমি আমার মায়ের নামের জমি গুলি দখল করেছে । যেহেতু একই দাগে আমার নামে কিছু জমি পরে আছে সেগুলির খাজানা দিয়ে আসি । কিন্তু এই জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ  বে আইনি ভাবে , গায়ের জোরে , লাঠির জোরে আমার পৈতৃক বাস ভুমি থেকে আমার মাকে উচ্ছেদ করেছে , শুধু তাই নয় আমার মায়ের সাথে আমার সম্পর্ক কে বিষিয়ে দিয়েছিল ফাগু ঘোষ নামক ব্যক্তি । যার পরামর্শে ১০ বিঘা আম বাগান বিক্রি করে ব্যবসার জন্য টাকা তার হাতে টাকা দেওয়া নিয়ে আমার মতপার্থক্য চুরান্ত হবার ফলে আমি বাবার মৃত্যু পর দুটি কারনে দুর্গাপুর আসার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হই এক মায়ের স্বৈরাচারী মন ভাব , আর দুর্গাপুরে রাজনৈতিক আকর্ষণ সুদূর উত্তর বঙ্গ থেকে শ্রমিক আন্দোলনের পীঠ ভুমি তে স্থায়ী ভাবে বসবাসে বাসনা আমার মনে সুপ্ত ছিল । তাই যে জমির মধ্যে আমার পূর্ব পুরুষের বাসবাস করেছেন । 
এই সেই ভূখণ্ড 
জাননগর গ্রাম , রতুয়া থানা জেলা 
এই খান বসবাস করতেন 

এই খানে সুরেন্দ্রনাথ ঝা বসবাস করতেন এক একর সাতাশ শতক জমিতে বিশাল শাল কাঠের টিনের বাড়ি , আর বাগান ভরা আম , কাঁঠাল ,জাম, পেয়ারা ,লিচু বেদানা, লেবুর বাগান । এর মাঝে সুন্দর বৈঠক খানা, রান্না ঘর , বিশাল টিনে বাড়ির বারান্দা । সুরেন্দ্রনাথ ঝা বিরাট পণ্ডিত ব্যাক্তি তিনি নুরপুরের পাঠান খাঁ দের জমিদারী দেখা শুনা করতেন সেই সুত্রে জাননগর গ্রামে স্থায়ী বসবাস শুরু করেন জাননগর গ্রামে ।
আর এই দেব তুল্য মানুষের ভাগ্যে জুটেছিল তারা দেবী মত পত্নী যে তার পরিবারের অগাধ অস্থাবর অস্থাবর ,স্থাবর সম্পত্তি ফাগু ঘোষ আর অনিল ঘোষ লুটে নিয়েছে আমার অবর্তমানে । 

আজও আমার উত্তাধিকার সুত্রে পাওয়া জমির দলিল খাতিয়ান পর্চা এবং খাজানার রশিদ পর্যন্ত আমার আছে । 

এই সেই জমির খাতিয়ান 
আইন আদালত আর পিতৃ দেবে বাস ভুমি উদ্ধারের মত সঙ্কটে পড়েছি আমি 
তুমিই পার আমাকে উদ্ধার করতে । 

Wednesday, August 10, 2016

এক বিধবার জমি আত্মসাৎ এর কাহিনী



এক বিধবার জমি আত্মসাৎ এর কাহিনী /
জাননগর গ্রামে তারা দেবী নামে এক বৃদ্ধা মহিলা বাস করত ।
তার গ্রামের বাস্তু ভিটে জোর করে দখল করে । এই জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ ।


সমস্ত কাগজ পত্র থাকা সত্ত্বে তাকে উচ্ছেদ করে তার জমি থেকে ।



জমি মাফিয়া দ্বারা বিধবার সম্পত্তি আত্মসাৎ


জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ


জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ 
জাননগর রতুয়া মালদহ 


খাতিয়ান 


খাজানার রশিদ 

এই বৃদ্ধা মহিলার কাছ থেকে চক্রান্ত করে তার বাস্তু ভিটে দখল করেছে তার শশুরের ভিটে বাড়ি /


 দাগ ৭০৫  এর মালিক সুরেন্দ্রনাথ ঝা 
 এই  জমি উত্তরাধিকার সুত্রে মালিক যুগল ঝা

                                            জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ জাননগর রতুয়া মালদহ 

জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ , জাননগর




জাননগর গ্রামের সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যক্তির নাম অনিল ঘোষ পিতার নাম ডোমন ঘোষ তার দুই ছেলে মণিন্দ্র ঘোষ আর অনিল ঘোষ । ডোমন ঘোষ ছিল এক গরুর রাখাল ।মনিন্দ্র কুষ্ঠ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৩৫ আগে । আর সেই নামে ২০১৬ জমি কিভাবে হস্তান্তরিত আমি বুঝতে পারছি না ,এই মাফিয়ার হাত কত দূর প্রসারিত আর এর সঙ্গে কারা আছে ? তাই এর চরিত্র তুলে ধরতে চাই ।

এই গ্রামে সুরেন্দ্রনাথ ঝা বসবাস করতেন । তিনি নুরপুরের জমিদার দের জাননগর গ্রামের ও অনান্য কাজে তাকে রতুয়ায় আসতে হত । তাই তিনি জাননগর গ্রামে বসবাস করার সিদ্ধান্ত নেন ।

পাঠান জমিদার দের কাছ থেকে কেনেন এই ভূখণ্ড 
মৌজা জাননগর ব্লক রতুয়া ১ জেলা মালদহ  দাগ নম্বর ৭০৫ 


জাননগর গ্রামে সুরেন্দ্রনাথ তার মত করে তার বসত  বাটী  সাজিয়ে ছিলেন , ছিল বিভিন্ন জাতের ও স্বাদের আম ,জাম , পেয়ারা , কাঁটাল , আমরা , বিভিন্ন স্বাদের লেবু গাছ ,বেদনা গাছ ।
তার মাঝে এক মাত্র টিনের বাড়ি যা মৈথিলী ঢঙ্গে তৈরি , ,একটি বৈঠক খানা , শোবার দুটি ঘর , লম্বা বারান্দা , ,প্রচুর গরু চাকর বাকর ।



আমার জীবনে ও আমার পরিবার কে তার অগাধ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি  শেষ করে দেবার পিছনে আমার মায়ের হাত আছে । তার মরার ২৫ বছর আমি এর ব্যাখা খুজে পাইনি । 
আর এই চক্রান্তে অংশিদার এই জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ আর ভাগু ঘোষ যারা চক্রান্ত করে এক অসহায় বৃদ্ধ মহিলার সমস্ত সম্পত্তি কেড়ে নিয়েছে ।
এই জমি মাফিয়া অনিল ঘোষ ।


আজ আমার নামে কিছু জমি পরে ছিল বর্তমানে সেই জমি জোর করে দখল করে রেখেছে । 

Tuesday, August 9, 2016

প্রার্থনা

জয় বাবা ভৈঁরো নাথ 


বাবা ভৈরবনাথ তুমি তোমার করুণা দিয়ে আমাকে সংকট থেকে মুক্ত কর ।।




ভৈরব চলিশা 



                                       প্রেত রাজ